ঢাকা , রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫ , ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র: দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় ভোগান্তি চরমে

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৭-০৭-২০২৫ ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ২৭-০৭-২০২৫ ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন
​কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র: দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় ভোগান্তি চরমে ফাইল ছবি
সিলেটে প্রায় ১০ দিন ধরে অচল কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। এতে করে চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। অতীষ্ট নগরবাসী। দিনরাত সমান তালে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন। বিশেষ করে বিদ্যুৎ না থাকায় তীব্র গরমে শিশু ও বয়স্ক লোকজন চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে জানা যায়, কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রের আওতাধীন এই পাওয়ার স্টেশনের ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে গেছে। কেউ বলছেন, ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে, কেউ বলছেন এটি শুধুমাত্র রক্ষণাবেক্ষণের জ বন্ধ। তবে কবে এটি চালু হবে, সে বিষয়ে কোনো সঠিক ভাবে কেউ কিছু বলঠেন না। 

বিউবো সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানান, এই পাওয়ার স্টেশন বন্ধ থাকায় নগরজুড়ে ভোল্টেজ কমে গেছে, লোডশেডিং বেড়েছে। যেহেতু সিলেটে এখন কোনো নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন নেই, সব নির্ভর করছে জাতীয় গ্রিডের উপর। কিন্তু জাতীয় লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার (এনএলডিসি) থেকেও পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সিলেটে বিদ্যুতের চাহিদার অন্তত ৩৩ শতাংশ ঘাটতি ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

সিলেট মহানগরীতে বর্তমানে পাঁচটি ডিভিশনে ১৩টি সাবস্টেশন রয়েছে। গরমের কারণে ফিউজ ও তার ছিঁড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও বেড়েছে। এর মধ্যে কুমারগাঁও স্টেশন বন্ধ থাকায় পুরো সিস্টেমে চাপ বেড়েছে।বিউবো সিলেট বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, ‘ঢাকা থেকেই অনেক সময় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে আমরা কিছুই করতে পারি না। মানুষজন আমাদের গালাগাল করেন, কিন্তু বাস্তবে আমাদের হাতে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’

বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন
 


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স


এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ